ইউক্রেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশচেঙ্কো বলেছেন, চীন রাশিয়ার সামরিক কারখানাগুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহ করছে। তবে বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

ওলেহ ইভাশচেঙ্কো বলেন, ‘প্রমাণিত তথ্য রয়েছে যে চীন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য বিশেষভাবে যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, বারুদ ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে। আমরা ২০টি রাশিয়ান কারখানার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ সালে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে এভিয়েশন খাতে পাঁচটি যৌথ প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম ও কারিগরি তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে। এছাড়া ছয়বার রাশিয়ায় বড় পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। যদিও চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি করছে, তবে ইউক্রেনের গোয়েন্দা রিপোর্টে চীনের সরবরাহকৃত সামরিক-সহায়ক পণ্যের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

দেখতে অবিকল ফাইটার জেট, কিন্তু চালকবিহীন! পঞ্চম প্রজন্মের এমন এক আকাশযান উদ্ভাবন করেছে তুরস্ক। যা ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে। আধুনিক কমব্যাট মিশনে এটি যুদ্ধবিমানের ভূমিকা পালনে সক্ষম বলে দাবি আঙ্কারার। সম্প্রতি সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে বায়কারের তৈরি মানুষবিহীন এই আকাশযান- কিজিলেলমা।

শক্তিশালী আর অত্যাধুনিক ড্রোন ভাণ্ডারের জন্য বরাবরই সুপরিচিত তুরস্ক। নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত একের পর এক মনুষ্যবিহীন আকাশযান বানিয়ে সক্ষমতার জানান দিয়েছে ইউরেশিয়ান দেশটি। আর এ তালিকায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য- তুরস্কের খ্যাতনামা সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেয়কার টেকনোলোজিস। যা জন্ম দিয়েছে টিবি-টু, আকিনঝির মতো মনুষ্যবিহীন যুদ্ধযানের।

সেই বেয়কারই এবার আনলো নতুন আরেক আকাশযান। যার নাম, কিজিলেলমা। সম্প্রতি, ড্রোনটির চতুর্থ প্রোটোটাইপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে এরদোয়ান প্রশাসন। দেখতে ফাইটার জেটের মতো হলেও আদতে এটি একটি চালকবিহীন যুদ্ধযান। যেটি পঞ্চম প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।

শুধু দেখতেই নয়, কাজেও ফাইটার জেটের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় কিজিলেলমা। তুরস্কের দাবি- যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ নানা ধরনের কমব্যাট মিশন পরিচালনায় সক্ষম এটি। যা মোতায়েন করা হবে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়।

বেয়কারের তথ্যানুযায়ী, তুরস্কের সর্বপ্রথম জেট ফুয়েল চালিত ড্রোন কিজিলেলমা। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই-৩২২ এফ মডেলের একটি ইঞ্জিন। যা শব্দের গতির চেয়ে দ্রুত ছুটতে সক্ষম।

মাত্র সাড়ে ১৪ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মনুষ্যবিহীন আকাশযানটি বহন করতে পারে দেড় টনের পে-লোড। আর উড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। একটানা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে স্থায়ী হতে পারে কিজিলেলমা। লেজার গাইডেড যুদ্ধাস্ত্রের পাশাপাশি এতে, বহন করা যায়, দুরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও।

বর্তমানে তিনটি সংস্করণ রয়েছে কিজিলেলমা আকাশযানের। এগুলোর কোনো কোনোটি শব্দের চেয়ে বেশি আবার কম গতিতেও ছুটতে পারে। বর্তমানে ৩৫টির মতো দেশ তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে থাকে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজা চার্লসের প্রতিষ্ঠিত একটি দাতব্য সংস্থার উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সংস্থায় আড়াই লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়ে আলোচনায় আসেন সালমান এফ রহমানের ছেলে সায়ান এফ রহমান। এবার ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সালমানপুত্রের মালিকানাধীন লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস এ তথ্য জানায়

সম্পত্তির নথি অনুযায়ী, লন্ডনের দুটি সম্পত্তির মালিক সায়ান এফ রহমান। নথিপত্রে দেখা গেছে, এর মধ্যে একটি সম্পত্তি হলো লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়েছিল। অন্যটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেন্সে অবস্থিত, যা পরের বছর ১.২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়েছিল।

ব্রিটিশ নির্বাচনী রেকর্ড অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের মা একসময় গ্রেশাম গার্ডেন্সের এই সম্পত্তিতে বসবাস করতেন। তবে, তিনি এখনও সেখানে থাকেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

এনসিএ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, এনসিএ একটি চলমান সিভিল তদন্তের অংশ হিসেবে লন্ডনের ১৭ গ্রোসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেন্সের সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে আর কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’

মূলত, এনসিএ সালমানপুত্রের দুটি সম্পত্তি ফ্রিজ করার আদেশ পেয়েছে। ফ্রিজিং অর্ডার হলো এমন একটি আদেশ যা কোনো সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তর করা থেকে বিরত রাখে।

এর আগে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানডে টাইমসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সায়ান রহমান একটি অফশোর ট্রাস্টে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উত্তর লন্ডনের গোল্ডার্স গ্রিন এলাকায় ১২ লাখ পাউন্ড দিয়ে একটি বাড়ি কিনেছিলেন। সেই বাড়িতে থাকতেন টিউলিপের মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা। এছাড়াও লন্ডনের গ্রসভেনর স্কয়ারে সায়ান রহমানের একাধিক সম্পত্তি রয়েছে যার মোট দাম ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড।

২০০৭ সালে ‘ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট’ নামের দাতব্য সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ রাজপুত্র তৃতীয় চার্লস। ঠিক ১১ বছর পর, ২০১৮ সালে, বাংলাদেশে এই ট্রাস্টের কার্যক্রম শুরু করতে সাহায্যের হাত বাড়ান নৌকার কান্ডারি সালমানের পুত্র সায়ান। তিনি এই সংস্থার একটি উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

২০১৮ সালে, লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে এক নৈশভোজে সবার সামনে সায়ান রহমানের প্রশংসা করেছিলেন চার্লস। বলেছিলেন, ‘আমি শুধু এটুকুই বলতে পারি যে সায়ান রহমান যে সহায়তা দিচ্ছেন, তার জন্য আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সালমান এফ রহমানের পাশাপাশি সায়ান এফ রহমান ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে আট কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠককে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অপ্রত্যাশিত মানসিক যুদ্ধে পরিণত করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকেও এই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। একসময় ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ পাওয়াকে গৌরবের বিষয় মনে করা হতো, কিন্তু ট্রাম্পের আমলে তা এখন এক ধরনের ‘রাজনৈতিক অ্যামবুশ’-এ পরিণত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রান্স-২৪’ এ তথ্য জানায়।

স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) ওভাল অফিসে আয়োজিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথি রামাফোসার সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ, অনেক মানুষ (দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়) মনে করছেন, তারা নিপীড়নের শিকার। তারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা হত্যার শিকার হচ্ছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে জেলেনস্কির সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর ট্রাম্প এবার রামাফোসাকে লক্ষ্য করেছেন। সাধারণত রাষ্ট্রীয় সফরে ওভাল অফিসে সংক্ষিপ্ত আলাপ ও ছবি তোলার রেওয়াজ থাকলেও ট্রাম্প সেগুলোকে প্রায় একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এমন উত্তপ্ত আলোচনায় পরিণত করেন।

বৈঠকের শুরুতেই রামাফোসা বলে দিয়েছিলেন, তিনি মূলত বাণিজ্য নিয়ে আলাপ করতে চান। তবে খুবই দক্ষতার সঙ্গে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে রামাফোসাকে একগাদা অভিযোগে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়ে তিনি চিন্তিত। কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন এবং একটি ভিডিওকে নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন তিনি।

তবে জেলেনস্কির মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্‌যুদ্ধে জড়াতে চাননি রামাফোসা। তিনি বরং শান্তভাবে সব অভিযোগ শুনে ধীর গলায় বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ কৃষক গণহত্যার অভিযোগ যদি সত্য হতো, তবে এই তিন ভদ্রলোক (আমন্ত্রিত গলফ খেলোয়াড়) আমার সঙ্গে থাকতেন না।

দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই বৈঠককে ‘উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে কূটনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আচরণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরি করে।

ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বিদেশি কূটনৈতিক দলকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের জেনিন শহরের একটি শরণার্থী শিবিরে মানবিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপীয় ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের ২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেনিন শরণার্থী শিবিরের প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন প্রতিনিধিরা। স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ শুরু হয় গোলাগুলি। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ছোটাছুটি শুরু করেন কূটনীতিকরা। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, অনুমোদিত রুট ব্যবহার না করায় সতর্কতামূলক গুলি ছোঁড়া হয়। যদিও পরবর্তীতে এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করে তেলআবিব।

পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ফিল্ড মার্শাল র‌্যাংক পেলেন দেশটির সেনাপ্রধান আসিম মুনির। প্রয়াত সাবেক সেনাশাসক আইয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসাবে ‘পাঁচ তারকা জেনারেল’ পদ পেলেন মুনির। এর মধ্য দিয়ে ৬০ বছরের পর পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর কোনো জেনারেল ফিল্ড মার্শাল হলেন। 

মঙ্গলবার (২০ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্স পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল হিসেবে পদোন্নতির অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভার নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, মার্কা-ই-হক ও অপারেশন বুনইয়া-নুম-মারছুছের সময়ে উচ্চ কৌশল ও সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে শত্রুর পরাজয় ও দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের এই পদোন্নতি অনুমোদন করেছে সরকার।

প্রসঙ্গত, ফিল্ড মার্শাল পদমর্যাদা হল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আদলে নির্মিত সর্বোচ্চ সেনাবাহিনীর পদ। ১৯৫৯ সালে রাষ্ট্রপতির মন্ত্রিসভা কর্তৃক এটি কেবল জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব খানকে প্রদান করা হয়েছিল।

ফিল্ড মার্শাল পদোন্নতির অনুমোদন দেয়ার আসিম মুনির বলেন, এটি শুধু (আমার) ব্যক্তিগত নয়, বরং পুরো দেশ এবং পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি সম্মান।

২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন আসিম মুনির। সাধারণত পাকিস্তানের সেনাপ্রধানদের মেয়াদ হয় তিন বছর। তবে ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করে আসিম মুনিরের মেয়াদ পাঁচ বছর করা হয়।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে মুনির দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের পুলওয়ামায় বন্দুকধারীদের হামলায় ৪০ ভারতীয় জওয়ান নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ওই সময় তিনি দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তখন তার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক হামলা-পাল্ট হামলার ঘটনা থামলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি এখনও। পাক সেনাপ্রধান হুমকি দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চায়। কিন্তু পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার্থে তারা পাল্টা হামলা চালাতে কোনো দ্বিধা করবেন না।

ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়,

এছাড়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের অনুদান ও চুক্তি বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মতে, ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগের যথাযথ উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে হার্ভার্ড প্রশাসন। এছাড়া ভর্তি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে জাতিগত বিবেচনা ও ইহুদিবিরোধী বৈষম্যের প্রতি সহনশীলতার অভিযোগ করেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সমালোচনা করা হয়।

তবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এর আগে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি তহবিল স্থগিতের ফলে সম্পূর্ণ খরচ বহন করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, এ মাসের শুরুতে একজন কট্টর ইহুদি শিক্ষার্থীর দায়ের করা হাইপ্রোফাইল মামলা নিষ্পত্তি করে দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। 

ভারতীয় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় এসব সংস্থা সচেতনভাবে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন। খবর দ্য ইকোনোমিক টাইমস’র।

সোমবার (১৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে ভারতীয় একাধিক ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স এবং ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের মানবপাচার চক্র ভেঙে দিতে ভবিষ্যতেও ওয়াশিংটনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের অভিবাসন নীতি কেবল বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই নয়, বরং যেসব ব্যক্তি এই আইন লঙ্ঘন করে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে। এর মধ্যে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন এবং নীতির বাস্তবায়ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আল-জাজিরা।

টানা দুই ঘণ্টা ধরে হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিনের মধ্যে চলে এই আলোচনা। উভয় দেশ এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, যুদ্ধ বন্ধে এখনও কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শিগগিরই মস্কো ও কিয়েভ আলোচনায় বসবে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও দিয়েছেন ইতিবাচক ইঙ্গিত। ট্রাম্পের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার পর পুতিন জানান, কিয়েভের সঙ্গে সমঝোতায় রাশিয়ার কোনো আপত্তি নেই।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা আগ্রহী। এখন সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি নির্ধারণ করাই মূল বিষয়। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি। রাশিয়া একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে ইউক্রেনকে একটি সমঝোতা স্মারক দেওয়ার প্রস্তাব দিতে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত।

কাশ্মিরের পেহেলগাম ইস্যুর জেরে দৃশ্যমান সংঘাতে জড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান। ঠিক সেই সময়ে ভারতীয় প্রথম সারির ও ‘বিশ্বস্ত’ কিছু গণমাধ্যমও তথ্য যাচাই না করার পাশাপাশি বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয় এমন কথা। শনিবার (১৭ মে) এটি প্রকাশ করা হয়।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রকাশিত সংবাদের বিরাট একটি অংশ জুড়ে ছিল নিজেদের সামরিক বাহিনীর বন্দনা। ভারতের হামলায় প্রতিবেশী পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে আঘাত করার পাশাপাশি দুইটি পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে— এমন দাবিও করা হয়।

পাশাপাশি পাকিস্তানের অন্যতম বন্দরনগরী ও দেশটির বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র করাচি বন্দরের একটি অংশ ধ্বংস করা হয়েছে বলেও খবর ছড়িয়ে পড়ে।

সার্বিকভাবে এই তথ্যগুলো পরিবেশনের সময় ভারতীয় মিডিয়া বেশ সুনির্দিষ্ট আঙ্গিকে প্রচার করে, যেন এটি আসলেই ঘটেছে। তবে এগুলোর কোনোটিই সত্য ছিল না।

ভারত ও পাকিস্তানের তীব্র সামরিক সংঘর্ষের সময় এবং তার পরের দিনগুলিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তের উভয় পাশেই মিথ্যা, অর্ধসত্য, মিম, বিভ্রান্তিকর ভিডিও ফুটেজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে ব্যবহৃত বক্তৃতার কারণে একপর্যায়ে মিথ্যা থেকে সত্য আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সিন্ধু নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে পাকিস্তানে সৃষ্ট বন্যার কিছু অংশ ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম প্রচার করে। তবে সংবাদমাধ্যমগুলোর পরিবেশন প্রক্রিয়া ছিল অন্যরকম। সেসময় উপস্থাপকের ভূমিকা অনেকটা এমন হয়ে ওঠে, যেন তারা দুটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের খেলায় চিয়ারলিডার।

একপর্যায়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পাকিস্তানের একটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে কথিত হামলার খবর প্রকাশ করে। এর পাশাপাশি বলা হয়, সৃষ্ট এ হামলার ফলে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে, যা আসলে সত্য ছিল না। এমনকি কোথায় কোথায় হামলা চালানো হয়েছে সেই অঞ্চলগুলো বোঝার সুবিধার্থে তারা মানচিত্রে কিছু এলাকাকে নির্দেশ করে। তবে এই দাবির পক্ষে গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর করাচি আক্রমণের খবরটিও একই রকম ছিল, যা ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়ে।

দক্ষিণ এশিয়ার ভুল তথ্য নিয়ে গবেষণা করা আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক সুমিত্রা বদ্রীনাথন বলেন, আমরা যখন ভুল তথ্যের কথা ভাবি, তখন আমাদের মনে আসে বেনামী লোকদের কথা, অনলাইন বটের কথা, যেখানে আপনি কখনই জানেন না যে জিনিসটির উৎস কী।

২০১৯ সালে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সংঘর্ষের সময় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোও ভুল তথ্যে ভরপুর ছিল। এর রেশ টেনে সুমিত্রা বদ্রীনাথন আরও বলেন, পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রধান সংবাদমাধ্যমগুলো সরাসরি বানোয়াট গল্প প্রচার করত। কিন্তু যখন বিশ্বস্ত সূত্রগুলো ভুল তথ্যের মাধ্যম হয়ে ওঠে, তখন সত্যিই এটি একটি বড় সমস্যা। ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত সম্পর্কে দেশটির মূলধারার গণমাধ্যমে ভুল তথ্য শেয়ার, দেশটির এক সময়ের প্রাণবন্ত সাংবাদিকতায় সর্বশেষ আঘাত।

সশস্ত্র সংঘাত যতদিন ধরে চলছে, যুদ্ধরত পক্ষগুলো মিথ্যা এবং অপপ্রচার ছড়িয়েছে। এবং মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের দেশের যুদ্ধক্ষেত্রের প্রচেষ্টাকে অনুকূলভাবে উপস্থাপন করে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়াও ভুল তথ্যের ছড়িয়ে পড়ার নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতে বাকস্বাধীনতার ক্রমাগত অবক্ষয় ঘটেছে। সরকারের সুনামের ক্ষতি করে এমন সংবাদ দমন করার জন্য অনেক সংবাদমাধ্যমকে চাপ দেয়া হয়েছে। অনেক বড় টেলিভিশন নেটওয়ার্কসহ অন্যান্যরা সরকারের নীতি প্রচার করতে শুরু করেছে।

ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং ইন্ডিয়া টুডে টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপক রাজদীপ সরদেশাই গত সপ্তাহে পাকিস্তানি বিমান ভূপাতিত করার খবর প্রচারের জন্য দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার উপস্থাপন করা তথ্যটি ‘প্রমাণিত হয়নি’।

কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ড্যানিয়েল সিলভারম্যান বলেন, ভুল তথ্য কিংবা বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য নিয়ে ছড়ানো তথ্য, এগুলো প্ররোচিত করার জন্য খুবই কার্যকরী। তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে, দুই দেশের ঐতিহাসিক শত্রুতার কারণে দর্শকরা যেকোনো চমকপ্রদ মিথ্যাকে গ্রহণ করতে এবং ছড়িয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে।

ভারতের একটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইট ‘এএলটি নিউজ’ যেটি দেশটির মূলধারার দুটি সংবাদমাধ্যম আজ তক এবং নিউজ এইটটিন-এর সম্প্রচারিত অসংখ্য বানোয়াট তথ্যের প্রমাণ সরবরাহ করেছে। ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা প্রতীক সিনহা বলেন, তথ্য বাস্তুতন্ত্র মূলত ভেঙে পড়েছে।

রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্সের মতে, প্রায় ৪৫০টি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন রয়েছে দেশটিতে। এখনও টেলিভিশন ভারতের জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত। তাই এখানে অপতথ্য বা মিথ্যা তথ্যের রেশ অনেক বড় পরিসরে বর্তায়।

গত সপ্তাহে, ভারতের স্বনামধন্য কয়েকটি টেলিভিশন স্টেশন করাচিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর আক্রমণের গল্প প্রচার করে। প্রতিবেদনগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এমনটি এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘করাচি’ এবং ‘করাচি বন্দর’ শব্দগুলো রীতিমতো ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়। করাচির শব্দ ব্যবহার করে এমন কিছু ছবি ও ভিডিও সেখানে যুক্ত করা হয় যা দেখে দর্শকদের মনে হতে পারে শহর ও বন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে, ফ্যাক্ট চেকাররা জানতে পারে ওই দৃশ্যগুলি ফিলিস্তিনের গাজার।

সবশেষে, ভারতীয় নৌবাহিনী ব্রিফিংয়ে বলে, তারা করাচিতে আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে তা করেনি।

স্লোভেনিয়ায় চুরি হয়েছে মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের ভাস্কর্য। স্লোভেনিয়া থেকে অন্তত ৬০ মাইল পূর্বে মেলানিয়া ট্রাম্পের জন্মস্থান সেভনিকায় নির্মিত হয় ভাস্কর্যটি।

এর আগে ২০২০ সালে ওই একই স্থানে বসানো হয়েছিলো ফার্স্ট লেডির আদলে গড়া একটি কাঠের ভাস্কর্য। যা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর ব্রোঞ্জের ভাস্কর্যটি প্রতিস্থাপন করা হয়। গেল মঙ্গলবার গোড়ালির অংশ থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মূর্তিটি। জানান, নির্মাতা শিল্পী ব্র্যাড ডাউনি।

কাঠের ভাস্কর্যটি ধ্বংস হওয়ার পর নিজ উদ্যোগে ব্রোঞ্জের মেলানিয়া মূর্তিটি তৈরি করেন তিনি। এ ঘটনা সমাধানে জোর তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

মেলানিয়া ট্রাম্পের স্বামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার নিজ দেশের মানুষ আশা করেছিলেন, তিনি হয়তো একদিন জন্মভূমিতে আসবেন। কিন্তু মেলানিয়া সেটি কখনোই করেননি।

স্লোভেনিয়ার রাজধানী লুবলিয়ানা থেকে ৬০ মাইল পূর্বে অবস্থিত সেভনিকায় মেলানিয়া ট্রাম্পের নামে কেক ও চকলেটসহ অসংখ্য পণ্যের নামকরণ করা হয়েছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘ব্যবহারিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের’ ঘোষণা দিয়েছে চীন। দেশটির প্রেসিডেন্ট  শি জিনপিং সাম্প্রতিক মস্কো সফরের পর এ ঘোষণা আসে। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিতে মস্কোয় গিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে তাস নিউজ ও আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোভিয়েত ইউনিয়নের ৮০তম বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন শি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়কে স্মরণ করতে প্রতি বছর ৯ মে রাশিয়ায় বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়।

পুতিনের সাথে দু’ দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক’সহ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার পর চীনা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।

গত কয়েক বছর ধরে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। বিশেষকরে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।

তবে ইউক্রেনের মিত্ররা অভিযোগ করছে, চীন রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এ ধরনের সহযোগিতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়।

কিন্তু ইউক্রেনের মিত্রদের এমন দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। যুদ্ধ বন্ধে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে চীন। এই ঘোষণা আসার পরপরই পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি বৈশ্বিক শক্তি ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

চীন ও রাশিয়া ন্যাটো ও পশ্চিমা প্রভাবের বিরুদ্ধে তাদের জোট শক্তিশালী করতে চাইছে। কেননা, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর এক বছর পূর্তিতে চীন একটি শান্তি পরিকল্পনা উপস্থাপন করলেও, পশ্চিমা নেতারা এটিকে রাশিয়ার পক্ষে দেখেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে, চীন-তাইওয়ান ইস্যুও বিবেচনাধীন। কারণ, ইতোমধ্যে তাইওয়ান নিজেদের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এছাড়াও, দেশটির সকল সামরিক সরঞ্জামের জন্য পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন সময়ে রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক গভীর হলে, তা ব্যাপক চিন্তায় ফেলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।