শুধু নির্বাচন হবে শোনা গেলেও দিন-তারিখ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এখনই সবাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের (পিআর) দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করছে— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ৫ আগস্টের আগে আমরা সবাই এক থাকলেও এখন সবাই ভাগ হয়ে গেছে। তবে দিল্লীতে ওরাই শান্তিতে আছে। এ সময় নির্বাচন দিন-তারিখ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা নেই বলেও মন্তব্য করে তিনি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে গুজব ও অপপ্রচার তত বাড়বে। রাষ্ট্র সংস্কার প্রশ্নে বিএনপিকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

হাসপাতালে ভর্তি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানকে দেখতে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মহাসচিবের সাথে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে যান তারা।

প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশে অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান শফিকুর রহমান। শেষ পর্যন্ত তিনি মঞ্চে বসে বক্তৃতা শেষ করেন।

হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, রাজনৈতিক শিষ্টাচার হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা জামায়াত আমিরকে দেখতে এসেছি। তারেক রহমানের নির্দেশেই উনাকে দেখতে এসেছি। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পেক্ষাপটে জামায়াত আমিরের সুস্থ থাকা প্রয়োজন।আগের চেয়ে তিনি বেশ সুস্থ অনুভব করছেন।

এরপর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। পরে চিকিৎসকরা জানান, তার রক্তচাপ ও সুগার লেভেল স্বাভাবিক আছে।

রাত সাড়ে আটটার দিকে দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, গরমের কারণে ডা. শফিকুর রহমান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি এখন ভালো আছেন। তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা নাই। চিকিৎসকরা তত্ত্বাবধান করছেন।

বিশাল সমাবেশে বড় ধরনের কোনও অঘটন ঘটেনি উল্লেখ করে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, প্রোগ্রাম স্থগিত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমির সাহেব তা চাননি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা সেনাবাহিনীর বাস দিয়ে রাজনৈতিক দলকে সহায়তার দাবিটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। শনিবার (১৯ জুলাই) আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি রাজনৈতিক দলকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য বাস সরবরাহ করেছে। এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর, যা সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার সুস্পষ্ট অপচেষ্টা।

বাস্তবতা হলো, সেনাবাহিনী পরিচালিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বহির্ভূত উৎস থেকে অস্থায়ীভাবে কিছু বেসরকারি গণপরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। অনেক সময় এসব বাসে অস্থায়ীভাবে ‘Bangladesh Army’ লেখা বা লোগো ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে কিছু গণপরিবহন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সড়কে কিছুটা সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সেনাবাহিনীর নাম বা লোগো ব্যবহার করে, যা একটি আইন বহির্ভূত কাজ।

আরও বলা হয়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে, সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার না করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্বের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মো. তৌহিদ হোসেন। 

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটির পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির সভায় এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, সমস্যা আছে বলেই দীর্ঘ সময়ে চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি। ভূমি কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া, ছোট ছোট বিষয় দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যৌতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গৌতম চাকমা।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, এই সভা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে, যদি সব পক্ষ সম্মিলিতভাবে চুক্তির বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করে তাহলে পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়ন সম্ভব।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, কমিটি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সুপারিশ প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে সাব-কমিটি গঠন করে কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধে তৎকালীন সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

নির্বাচন দেরিতে হওয়ায় গণঅভ্যুত্থান বিরোধী শক্তি সুসংগঠিত হবার সুযোগ পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে প্রেসক্লাবে ‘গণ-অভ্যুথানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের অগ্রযাত্রায় বিশ্বাস করেনা, তা আবার সক্রিয় হচ্ছে। অযথা বিলম্ব না করে সরকারকে রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলোচনা করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

বিরনপির এই নেতা বলেন, সংস্কার বিএনপিই করেছে, প্রস্তাবও বিএনপিই দিয়েছে, তাই অযথা বিলম্ব না করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে পরিস্থিতি ঠিক করার আহ্বান জানাই। এই দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তী সরকারের, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।

তিনি বলেন, ‘সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। হারিয়ে ফেললে অনেক বছর পিছিয়ে যাবে দেশ। প্রতিবার ছেলেরা প্রাণ দেবে, আন্দোলন হবে, তাই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রমাণ করেছে সবাই দেশকে ভালোবাসে। তাই তারা ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে ত্যাগ স্বীকার করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের প্রতিটি পর্যায়ের যারা আছেন, তারা সব দলের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি বন্দোবস্ত দেবেন। সবাই মিলে দেশ গড়তে সেই বন্দোবস্ত নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে। সবাই যেনো একটি বিষয়ে একমত হই, যেনো কেউ ফ্যাসিবাদের কাছে দেশকে ছেড়ে না দেই।

তিনি আরও জানান, বিপ্লব করে ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ নেই, ইচ্ছেও নেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের সমর্থনে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন করতে চায় বিএনপি। কোনো বাধাই থামাতে পারবে না। ’৭১- আর স্বাধীনতা মূল কথা, সেখানে কোনো ছাড় নেই। গণতন্ত্রের দিকে যেতে হবে।

গোপালগঞ্জে নিহতদের স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিটির ময়নাতদন্ত হচ্ছে। প্রয়োজন হলে বাকি নিহতদের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হবে। এ সময় গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের দায় আছে কি না তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু করতে ইমিগ্রেশনে জনবলের চাহিদার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছি। তবে টার্মিনাল চালুর বিষয়ে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই।

শৃঙ্খলা মেনে চললে দেশই লাভবান হবে। মানবিক ও ভালো মানুষ না হলে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। এমন মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে মিরপুর সেনানিবাসে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এমআইএসটিতে ‘মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সাইন্স’ বিষয়ক তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সেনাপ্রধান।

এ সময় তিনি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পাঁচজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, নবায়নযোগ্য শক্তি, উৎপাদন কৌশল, তাপ প্রকৌশল ও মহাকাশ গবেষণাসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, জাপান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা গবেষক ও পেশাজীবীরা অংশ নেন।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর ‘জাতীয় সমাবেশের’ মূল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে উদ্যানটি। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায়ও অবস্থান নিয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টায় কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর দুপুর দুইটায় সমাবেশের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে সমাবেশ মঞ্চে দলটির আমীর শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন। এছাড়া, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলনসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।

দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, জুলাই সনদ ঘোষণা, গণহত্যার বিচার, সংস্কার এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৭ দফা দাবি জনতার কাছে পৌঁছে দিতেই এই সমাবেশ।

অন্যদিকে, সমাবেশে যোগ দিতে গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জামায়াত নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে থাকেন। শনিবার সকালে ছোট ছোট গ্রুপ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। কারো কারো হাতে ছিল দাঁড়িপাল্লা প্রতীক।

এক প্রজন্মের লড়াইয়ে পরিবেশের উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পরিবেশ রক্ষায় কয়েকটি প্রজন্ম ধরে কাজ করে মূল্যবোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

শনিবার (১৯ জুলাই) সকালে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদফতর আয়োজিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি।  

তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পক্ষে মত দিলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা সফরগুলো পরিবেশবান্ধব জায়গায় আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বন বিভাগকে আরো পরিবেশবান্ধব রিসোর্ট নির্মাণের নির্দেশ দেন তিনি।

রিজওয়ানা বলেন, এক প্রজন্মের লড়াইয়ে পরিবেশ উন্নত করা সম্ভব নয়। এজন্য কয়েকটি প্রজন্ম ধরে কাজ করতে হবে। তবে পরিবেশ রক্ষায় এখনই মূল্যবোধ গড়ে তোলার সময়। পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার আহ্বান জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, শব্দদূষণ বন্ধে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। গাড়ি চালানোর সময় অকারণে হর্ন বাজানো বন্ধ রাখতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের পরিবেশ নিয়ে অঙ্কিত চিত্র প্রদর্শনী ও বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় পুরস্কার।

১৯ জুলাই বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদানের ফলে স্বাভাবিক নিয়মের কোনও ব্যত্যয় ঘটেনি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল শনিবার জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষ্যে দলটির আবেদনের প্রেক্ষিতে চার জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বিষয়টি কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতির পূর্বাপর ইতিহাস বা নজির না জেনে পক্ষপাতমূলকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের বক্তব্য হচ্ছে, এতে ট্রেন পরিচালনার স্বাভাবিক নিয়মের কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। অতীতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বড় কর্মসূচি উপলক্ষ্যে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার নজির রয়েছে৷ রাজনৈতিক দলের জনসমাবেশ বা অনুরূপ কর্মসূচির কারণে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট ভাড়া আদায় সাপেক্ষে বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি নৈমিত্তিক কাজ।

রেলওয়ে বলছে, এ ধরনের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান না করলে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নিয়মিত ট্রেনের টিকিটবিহীন যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যাওয়ার জন্য টিকিট করার পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পান না বিধায় বিনা টিকিটে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়।

অন্যদিকে, বিশেষ ট্রেন পরিচালনার অনুমতি প্রদান করার ফলে নির্দিষ্ট ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে দলের নেতাকর্মীগণ উক্ত ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানায় রেলওয়ে। এতে বাংলাদেশ রেলওয়ে যেমন কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হবে, অন্যান্য ট্রেনের সাধারণ যাত্রীগণও তেমনি বাড়তি ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাবে মনে করে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উক্ত চারজোড়া বিশেষ ট্রেন সাপ্তাহিক অফ-ডে থাকা নির্ধারিত রেক দ্বারা পরিচালনা করা হবে। তাছাড়া শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীদের স্বাভাবিক চাহিদা সাধারণত কম থাকে। ফলে এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য নিয়মিত চলাচলকারী কোন ট্রেনের যাত্রা বিঘ্নিত হবে না অর্থাৎ এ সকল রুটে নিয়মিত চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীদের ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না। আলোচ্য ক্ষেত্রে জামায়াতের সমাবেশ উপলক্ষ্যে তারা প্রায় ৩২ লক্ষ নগদ টাকায় বিশেষ ট্রেনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেছে, যাতে করে রেলের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

এতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত, এর সঙ্গে দলীয় রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নাই। পূর্বের প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাজনৈতিক দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷ এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো কিংবা অপপ্রচারের কোনও সুযোগ নেই।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মামলা করার সুযোগ আছে, এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিবকে এক চিঠিতে এ বিষয়ে অবহিত করে ইসি। হলফনামায় সম্পদের মিথ্যা তথ্য দেয়ায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে গত ২২ মে চিঠি দেয় দুদক।

এতে বলা হয়, হলফনামা যাচাইবাছাইয়ের সময় চলে যাওয়ার পর মিথ্যা তথ্যের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। তাই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের এখন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।

ইসি জানায়, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দণ্ডবিধির ১৮১ ধারার অপরাধ করেছেন। আইন অনুযায়ী- যে ম্যাজিস্ট্রেট বা নোটারী পাবলিকের নিকট শেখ হাসিনা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, সেই ম্যাজিস্ট্রেট বা তার ঊর্ধ্বতন কোনও সরকারি কর্মচারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেন।

এই মাসে জুলাই সনদ না হলে অন্তর্বর্তী সরকার ও ঐকমত্য কমিশন দায়ী থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত মৌন মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বললেন, যারা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায় তাদের উদ্দেশ্য অসৎ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনও ম্যান্ডেট এই সরকারের নেই। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবেই দেখে বলে জানান তিনি।

গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টির নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলেও দাবি করেন বিএনপির এ নেতা। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

পরে মৌন মিছিলটি মিরপুরের পল্লবী থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিণ করে।