আগামী ফেব্রুয়ারিতেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার— এমনটাই আশা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান যে নতুন পথ দেখিয়েছে তা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সবাইকেই।

এসময় তিনি দাবি করেন, দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হাজারো প্রাণহানি ঘটেছে।

সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সহযোগিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া ও এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতেই সকাল ৯টায় সিলেটে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, যারা ১৪ দলের নামে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল তারাই এখন সংস্কার কমিশনে এসে বড় বড় কথা বলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে চাইছে, তারা একটি চরের দল। তারা আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনের বৈধতা দিয়েছিল।

শনিবার (৫ জুলাই) ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের থানা সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, গণতন্ত্রের ইতিহাস ভুলিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্বল্পমেয়াদী সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। জনগণ ম্যান্ডেট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনলে সংবিধানসহ সব সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বিমত ও বিরোধিতা থাকলেও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ যদি সংস্কার ও বিচারের নামে দীর্ঘ মেয়াদে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে চায় সেটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে আবারও সংগ্রাম করবে বিএনপি।

এনসিপি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ছাত্রদের নতুন দলের সফলতা কামনা করি। মৌলিক সংস্কার না হলে নির্বাচনে যাবে না বলে তারা বলছে। কিন্তু কী করলে তারা নির্বাচনে যাবে সেটি বলছে না।

তুলা আমদানিতে আরোপিত ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।

বিটিএমএ বলেছে, অগ্রিম আয়কর আরোপ, রাজস্ব সংগ্রহের জন্য সুবিধাজনক মনে হলেও সিদ্ধান্তটি আত্মঘাতী। এতে বস্ত্র খাত বড় ধরনের সংকটে পড়বে। চলতি মূলধন সংকুচিত হতে হতে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যাবে অনেক বস্ত্রকল। সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করছে বিটিএমএ নেতারা।

দেশি বস্ত্রকলে উৎপাদিত তুলার সুতা ও কৃত্রিম আঁশ এবং অন্যান্য আঁশের সংমিশ্রণে তৈরি সুতার ওপর উৎপাদন পর্যায়ে কেজিপ্রতি সুনির্দিষ্ট কর ৫ টাকা অব্যাহতি প্রদানের দাবিও তুলেছেন বিটিএমএ এর নেতারা।

তারা বলছেন, তুলা আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করায় বস্ত্রকলগুলোর উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। আমদানি করা তুলা খালাসে প্রতিবার ২ শতাংশ হারে এআইটি পরিশোধ করতে হলে বছর শেষে করভার বাড়বে। এতে চলতি মূলধন ধারাবাহিকভাবে সংকুচিত হবে। চক্রবৃদ্ধি হারে এআইটি পরিশোধ করতে হলে তিন বছরের মধ্যে চলতি মূলধন শূন্য হয়ে যাবে। ফলে দেশি বস্ত্রকলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেড়ে যাবে আমদানি। পণ্য রফতানিতে মূল্য সংযোজনের হার কমবে।

বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেছেন, এই খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। দেশের শীর্ষ রফতানি আয়ের খাত তৈরি পোশাক শিল্পের সুতা ও কাপড়ের ৭০ শতাংশের জোগানদাতা হচ্ছে বস্ত্র খাত। ফলে বস্ত্র শিল্পের যেকোনো সমস্যা তৈরি হলে তা পোশাক শিল্পেও এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) মরদেহ অবশেষে দেশে ফিরেছে। মরদেহ দেশে ফেরায় সন্তোষ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।

নিহত ওয়াসিম আকরাম (২৮) মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। মরদেহ নিহতের স্বজন ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানায়, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তার তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে। ওই সময় বিএসএফ মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

পরে মরদেহ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০ এর নিকটে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিম আকরামের বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান মরদেহ গ্রহণ করে।

পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন ওয়াসিম আকরাম। পরে তার মরদেহ সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, শুধু শেখ হাসিনার পরিবর্তন চাইনি, দুর্নীতিবাজ ও মাফিয়াদেরও পরিবর্তন চেয়েছি। সংস্কারের পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।

এনসিপির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে দলটি আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন এনসিপি আহ্বায়ক।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, আমরা যেভাবে এক দফার ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ বছর শহীদ মিনারে ৩ আগস্ট একইভাবে বিচার, সংস্কার, নতুন সংবিধান এবং দেশ পুনর্গঠনে ইশতেহার ঘোষণা হবে। নিশ্চিতভাবে সেই ইশতেহারে জয়পুরহাটবাসীর ভবিষ্যত মুক্তির কথাও থাকবে।

এনসিপির জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়ক ফিরোজ আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিনাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, জয়পুরহাট জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী ওমর আলী বাবু প্রমুখ।

আগামী ৬ মাসের মধ্যে পার্বত্য এলাকায় মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে যা যা করণীয়, তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
শনিবার (৫ জুলাই) পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর বেইলী রোডে পাঁচ দিনব্যাপী ‘পাহাড়ি ফল মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলে তিনি।
তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা পাহাড়ে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল ক্লাসরুম নিশ্চিত করতে স্টারলিংক এর মাধ্যমে ইন্টারনেট কিংবা সৌরবিদ্যুৎ যাই লাগুক তার ব্যবস্থা করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর আর্থিক কষ্ট দূর করতে কাজ করছে সরকার।
এর আগে গত, ১ জুন থেকে ৫ দিনব্যাপী চলা এই পাহাড়ি ফল মেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সংস্থা ও উদ্যোক্তারা পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত দেশীয় ও মৌসুমি ফল, প্রাকৃতিক খাদ্যপণ্য ও হস্তশিল্প সামগ্রীর পসরা বসে।
এদিন, পাহাড়ি ফল মেলায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়।

গণতন্ত্রের প্রশ্নে টানা ১৬ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা যে গণতন্ত্র কবরস্থ করেছিলেন, তা পুনর্জাগরণে আন্দোলন চালিয়ে গেছে বিএনপি। নানাবিধ নির্যাতনের পরেও কখনো থেমে যায়নি।

আজ শুক্রবার (০৪ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, গণতন্ত্র যখনই ধ্বংস কিংবা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে, তখনই বেগম খালেদা জিয়া বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অবদান রেখেছেন। পরমত সহিষ্ণুতাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

তিনি আরও বলেন, যেকোনো ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের কেউ যেন কারও সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে—এ জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনৈতিক ও অপরাধমূলক কাজের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান—জিরো টলারেন্স।

এসময় এরইমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সারাদেশে বেশ কয়েকজন নেতাকে দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে বলেও জানান রিজভী। বলেন, ইতোমধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরাধে জড়ালে কোনো ছাড় নয়।

রিজভী বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিলেই বোঝা যাবে, বিএনপি কতটা জনপ্রিয়। দ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার দাবিও জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।

বিগত সরকার আমলে যারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছে তাদেরকে চাকরি থেকে বিদায়ের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এ দাবি জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনও ছিল বির্তকিত। কারণ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্যই ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি করা হয়েছিল।

বির্তকিত নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। ওই নির্বাচন বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দেয়ার নীল নকশা ছিল বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই ভাইস প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে ছিল, জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তাদের রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ এখন মুসলিম লীগের পথে বলেও জানান তিনি।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচনটি স্মরণকালের সবচেয়ে ভালো করতে সরকার বদ্ধ পরিকর।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে জেলার মাদারগঞ্জে অনুসন্ধান কূপ খনন কাজ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলপকালে এ কথা বলেন তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, আগামী নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারবেন। উন্মুক্ত ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গণনার সুযোগ থাকবে। এ সময় নির্বাচনে জয়ীদের সরকার স্বাগত জানাবে বলেও জানান তিনি।

জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ পরিদর্শন শেষে মাদারগঞ্জের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনের কথা রয়েছে বিদ্যুৎ উপদেষ্টার। এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, বাপেক্সের এমডি প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক ও জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭৩ সালের পর, যুক্তরাষ্ট্রের ডলার ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির কারণে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি করতে শুরু করেছেন, যা ডলারের ‘সেফ হ্যাভেন’ (নিরাপদ মুদ্রা) অবস্থানকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

ডলার সূচকে রেকর্ড পতন


ডলার ইনডেক্স, যা পাউন্ড, ইউরো ও ইয়েনসহ ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান পরিমাপ করে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ১০.৮% নিচে নেমেছে। ট্রাম্পের অস্থির ‘শুল্ক নীতি’ এবং ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে তার সমালোচনা ডলারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়েছে।

এছাড়া, কংগ্রেসে আলোচিত ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল’ ট্যাক্স বিল নিয়ে অর্থনীতিবিদদের উদ্বেগ রয়েছে। এই বিলটি আগামী দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের বোঝা ট্রিলিয়ন ডলার বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার ফলে ট্রেজারি বন্ড মার্কেট থেকে বিনিয়োগকারীরা সরে যাচ্ছেন।

ডলারের পতনের কারণ

 

১. ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধ: গত ২ এপ্রিল, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের পণ্য রফতানিতে শুল্ক আরোপ করে, যা মার্কিন অর্থনীতির প্রতি আস্থা কমায়। এরপর ‘এসঅ্যান্ডপি ৫০০’ সূচক তিন দিনে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্য হারায়

২. ফেডারেল রিজার্ভের স্বাধীনতা নিয়ে সংশয়: ট্রাম্পের ফেডের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপের অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

৩. বৃহৎ কর বিল: ট্রাম্পের প্রস্তাবিত কর কাটছাঁট ও ঋণ বৃদ্ধির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ-টু-জিডিপি অনুপাত বাড়িয়ে দেবে, যা দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।

৪. সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা: মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরে ২-৩ বার সুদের হার কমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ডলারের মান আরও দুর্বল করতে পারে।

 

স্বর্ণের দাম বেড়েছে, ডলারের মান কমেছে

ডলার দুর্বল হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের ‘ইউএস-ডলার’ রক্ষায় স্বর্ণে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, যার ফলে সোনার দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

ডলারের পতনের প্রভাব

  • মার্কিন রপ্তানি সস্তা হবে, কিন্তু শুল্ক নীতির কারণে এর সুবিধা অনিশ্চিত।
  • উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য সুখবর: ডলার দুর্বল হলে জাম্বিয়া, ঘানা বা পাকিস্তানের মতো ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর ডলার-ঋণ পরিশোধের বোঝা কমবে।
  • কমোডিটির দাম বাড়বে: তেল, ধাতু ও কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক দেশগুলো (ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, চিলি) লাভবান হবে।

অন্যান্য মুদ্রার অবস্থা

  • ইউরো ১৩% শক্তিশালী হয়েছে (১ ইউরো = ১.১৭ ডলার)।
  • জার্মানি ও ফ্রান্সের বন্ড-এ বিনিয়োগ বেড়েছে।
  • ইউরোপীয় শেয়ার মার্কেট ২০২৫ সালে ১৫% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ডলারে হিসেব করলে ২৩% লাভ।

যদিও ডলার এখনও বিশ্বের প্রধান রিজার্ভ কারেন্সি, তবে ট্রাম্পের নীতির কারণে এর আস্থা কমছে। ব্যাংক জে সাফ্রা স্যারাসিনের প্রধান অর্থনীতিবিদ কার্স্টেন জুনিয়াস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন বিনিয়োগের জন্য কম আকর্ষণীয়। সেই সাথে, মার্কিন সম্পদ আগের মতো নিরাপদ নয়।”

যদি বিনিয়োগকারীরা ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখে, তবে ডলারের দাম আরও পড়তে পারে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ডলারের পতন অব্যাহত থাকতে পারে।

সূত্র: আলেক্স কোজুল-রাইট (অর্থনৈতিক বিশ্লেষক), আল জাজিরা।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক খাতে বড় সংস্কারগুলো করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (২ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বিভক্তি ইস্যুর জটিলতায় কিস্তির ছাড়ের বৈঠকে বসতে চায়নি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এনবিআর চেয়ারম্যানের চিঠি আমলে না নেওয়ায় আমাকে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিতে মাঝারি শিল্পের অবদান অনেক। শুধু স্বল্পোন্নত নয়, উন্নত দেশেও এসএমই’র অবদান আছে। এসএমই খাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিকায়ন প্রয়োজন। নারীদের ক্ষমতায়ন এসএমই’র মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই খাতের উন্নয়নে ব্যাংকার ও নীতিনির্ধারকদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে এগিয়ে আসতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করবে।

একই অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার রিমন রহমান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। গত ২৬ জুন দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এটা একান্তই সৌজন‍্য সাক্ষাৎ ছিল, ফরমাল কোনও বৈঠক করিনি। যখন দলীয় সরকার থাকে তখন সরকারপ্রধানের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ হয় না। কিন্তু এখন আমি যেমন নিরপেক্ষ, প্রধান উপদেষ্টাও নিরপেক্ষ।

তিনি আরও বলেছেন, এই মুহূর্তে নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রে। স্বভাবতই কথা প্রসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন‍্য আমারা প্রস্তুত আছি কি না। আমি বলেছি, আমরা প্রস্তুতির ফুল গিয়ারে আছি।

গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়েজনে প্রধান উপদেষ্টা ও ইসির আন্তরিকতা প্রশ্নাতীত বলেও মন্তব্য করেন এ এম এম নাসির উদ্দীন। জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলকে লক্ষ্য করে কমিশন এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

সিইসি আরও জানান, যথাসময়ে ভোটের তারিখ জানা যাবে। ইসি থেকেই জানতে পারবে সকলে। এজন্য একটু অপেক্ষা করার কথা বলেন তিনি।