আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে বেছে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আজ রোববার (১০ আগস্ট) দীর্ঘ ১৬ বছর পর রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন দেয়া ভার্চুয়াল ভাষণে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা নয়, দেশের সব খাতকে ধ্বংস করেছে। নৃশংসভাবে দমন করেছে বিরোধী মতাবলম্বীদের। কিন্তু হাজারও মানুষের প্রাণের বিনিময়ে জুলাই অভ্যুত্থানে পতন ঘটেছে তাদের।

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনের পথে হাঁটছে উল্লেখ করে বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হবে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে বিএনপিকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। আর সবাইকে সাথে নিয়ে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সেইসাথে, জনরায়ে ক্ষমতায় গেলে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতিও দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তারেক রহমান আরও বলেন, ক্ষমতায় এসে দেশবিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার আলো শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে হবে।

অপরদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের মনে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে। এ সময়, পদ্মাসহ অন্যান্য নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন তিনি।

কসই বেড়ীবাঁধ এবং দ্বীপের চারপাশে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা না গেলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই সমুদ্রপৃষ্ঠে বিলীন হবে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড কুতুবদিয়া। ‘অস্তিত্বের সংকটে কুতুবদিয়া দ্বীপ: রাষ্ট্রের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এমন শঙ্কার কথা জানান বক্তারা।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

বক্তারা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং অব্যাহত ভাঙনে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়া দ্বীপ। শত শত পরিবার হারিয়েছে ঘরবাড়ি, কৃষিজমি, মাছের ঘের। এতে থেমে গেছে তাদের জীবিকার চাকা। এ সময়, সরকারের জরুরি উদ্যোগ ছাড়া দ্বীপবাসীর জীবন ও জীবিকা রক্ষা সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। এজন্য সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী তৈরি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন তারা।

গত দেড় দশকে ছাত্র রাজনীতির নেতিবাচক কার্যক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ট্রমায় আছে। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে রাজনীতির রুপ কেমন হবে, তা নিয়ে সবার সাথেই ধারাবাহিক আলোচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনটা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

আবাসিক হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোকে আমন্ত্রণ জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর সোয়া ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে শুরু হয় এই বৈঠক।

বৈঠকের আগে ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ জানান, সমঅধিকারের ভিত্তিতে সবাই যেন হলে শান্তিপূর্ণভাবে ডাকসুকেন্দ্রিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে, সে লক্ষ্যে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

রুদ্ধদ্বার আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিকে কারণ দেখিয়ে সভা বর্জন করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো। তারা বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে গুপ্ত কার্যক্রমের অভিযোগ তোলেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠনটির অবস্থানের প্রতিবাদ জানান।

এদিকে, আবাসিক হল ও একাডেমিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কাঠামো চায় না বলে মতামত জানিয়েছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস)।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ক্যাম্পাসে শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করে সবার মতামত নিয়ে ছাত্র রাজনীতির নতুন রুপরেখা দিতে হবে।

সভায় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি থাকতেই হবে। তবে রাজনীতির ধরন কেমন হবে, তার জন্য শিক্ষার্থীদের ভোটাভুটি হতে পারে।

এর আগে, শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে বিক্ষোভের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন ঢাবি উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদলয়ের হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি না রাখার বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। সিদ্ধান্ত কার্যকরে রোডম্যাপ তৈরিতে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান ।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ইস্যুতে হল প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট ড. ফারুক শাহ বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ তৈরি হবে। ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ঢাবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন হল ইউনিটে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে শুক্রবার দুপুর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পরে দিবাগত রাত ১২টার পর মিছিল নিয়ে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যে একত্রিত হন বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা হলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে বলে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। পরে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে।

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয় ব্যাংকিং খাতে। প্রভাবশালীদের লুটপাটে খাদের কিনারে চলে যায় বেশ কয়েকটি ব্যাংক।

বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নিয়েই ব্যাংকিং খাতের লুটপাট বন্ধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেন । বছরজুড়েই চলমান ছিল সংস্কার কার্যক্রম। শুরুতে পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয় ১৪টি ব্যাংকের।

ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন ও আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী করতে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। আর্থিক অবস্থা জানতে সম্পদ মূল্যায়ন করা হয় দুর্বল ৬টি ব্যাংকের। একীভূতকরণে প্রণয়ন করা হয় ব্যাংক রেজুলেশন অ্যাক্ট। এ বিষয়ে একটি বিভাগও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণ নির্ধারণে চালু করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

সেন্টার ফর পলিসির (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং খাতটা, বিশেষ করে বলতে গেলে সেখানেই অনেক দৃশ্যমান সংস্কারের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে। অন্যান্য খাতের সাথে তুলনা করলে ব্যাংকিং খাতে কিন্তু অনেক অগ্রগতি হয়েছে এবং আমার মনে হয় যে কালক্ষেপণ না করে যতটা সম্ভব দ্রুততার সাথে করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে কিন্তু অগ্রগতি সংস্কারের পথে যাচ্ছে। আসলে এই সংস্কারটা অনেকদিন ধরেই চলবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বললেন, ব্যাংকগুলোতে পরিবর্তন আসার সাথে সাথে গভর্নেন্স অনেক ইম্প্রুভ করে গেছে। লক্ষণীয়ভাবে যে জিনিসগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক করেছে সেটা হচ্ছে এই যে এতগুলো ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে। আবার এখন এনপিএল ক্যালকুলেশনটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতেছে। ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিন্যান্স একটা করছে। সবগুলো কিন্তু অবশ্যই প্রভাব রাখা শুরু করেছে।

সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ব্যাংক কোম্পানি আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডারেও। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সংস্কারের প্রতিটি উদ্যোগেরই অগ্রগতি আছে। আইন না থাকায় এর আগে একীভূতকরণের উদ্যোগ সফল হয়নি বলেও জানান মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

তিনি বলেছেন, সুপারভিশনের মাধ্যমে আগে আমরা কোনও একটা ব্যাংকের ক্ষেত্রে রিঅ্যাক্টিভ মেজার নিতাম। এখন করছি প্রোঅ্যাক্টিভ। আগে থেকে আমরা সাবধান করে দিচ্ছি। তোমার কিন্তু এইখানে দুর্বলতা দেখা দিচ্ছে। এখনই তুমি সংশোধন করো অন্যথায় ভবিষ্যতে তোমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। ব্যাংক রেজুলেশন অর্ডিনেন্স জারি করা হয়েছে যার মাধ্যমে একীভূতকরণসহ বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করার আইনি ভিত্তি তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলে ব্যাংকিং খাত এখন অনেকটাই স্থিতিশীল বলেও জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সরকারি হাসপাতালে চাকরি যাওয়ার ভয় না থাকায় সেবাগ্রহীতারা কাঙিক্ষত সেবা পান না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট কনভেনশনে এ মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ দেন তিনি।

এ সময়, স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিন মাসব্যাপী পরিকল্পনা নিয়ে সেবাগ্রহীতাদের জন্য কিছু কাজ সম্পন্ন করে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।

সাইদুর রহমান বলেন, একটি উদ্যোগে যদি হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন হয় তবে রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। এ সময় স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণের উপর জোর দেন তিনি।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের সততার ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, আজকে একটি পত্রিকায় একজন সাবেক সচিবকে উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে তিনি বলেন ৮ জন উপদেষ্টা দুর্নীতির সাথে জড়িত। যদি উনি এই ধরনের কথা বলে থাকেন সেটা উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এর সাথে বিএনপির কোনও সম্পর্ক নেই। আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই সেই বক্তব্যের দায় সম্পূর্ণ তার নিজের। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টাসহ এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের সকল উপদেষ্টাকে অত্যন্ত সম্মান করি এবং তাদের সততার ওপর আস্থা রাখি।

উল্লেখ্য, দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি পত্রিকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের বরাত দিয়ে ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব দলের পক্ষে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

দেশের কোথাও অরাজকতা হলেই সেখানে বিএনপির নাম জড়াচ্ছে একটি পক্ষ। এভাবেই তারা বিএনপিকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শনিবার (৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিজয় সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের যেমন ন্যায্য মর্যাদা দেবে, তেমনি আহতদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এ সময় ভারতের প্ররোচনায় দেশে নির্বাচন না হওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভারতের সাথে ষড়যন্ত্রে যোগ দিয়েছে দেশের কিছু রাজনৈতিক দল। তারা সুযোগ খুঁজতে ব্যস্ত কিন্তু জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়। নির্বাচন আর বিচারকাজ একসাথে চলতে পারে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সবাই সৎ নয় বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।

যৌনকর্মী পেশাকে নয়, নারীদের অধিকার নিশ্চিত করতেই নারী সংস্কার কমিশন করা হয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এটাকে কেউ কেই ভুল বুঝে সংস্কার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জুলাই কন্যাদের সমন্মানা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, কেউ স্বেচ্ছায় যৌন পেশা বেছে নেন না। জীবনের তাগিদে বাধ্য হয়ে যারা এই পেশায় আসেন তাদের সুরক্ষায় এবং জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চেয়েছে সরকার বলে জানান তিনি। মূলত, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যৌনকর্মী পেশাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে আয়োজকদের এমন সমালোনার জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে জুলাই আন্দোলনে অবদান রাখা নারীদের সমন্মাননা দেয়া হয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময়ে ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বিএনপির পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

তারেক রহমান সূচনা বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের রায়ে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক একটি কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

খাগড়াছড়ির রামগড়ে একটি ফার্মেসীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় চার লাখ টাকার ওষুধ জব্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রামগড় উপজেলার সোনাইপুল বাজারে এ অভিযান চালানো হয়। দুই ঘণ্টার এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী শামীম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় জননী মেডিকেল নামের ফার্মেসিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ফার্মেসি থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জেকশন, ইন্সুলিন-ডায়াসুলিন এবং অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার বিভিন্ন ওষুধ জব্দ করা হয়।

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির দায়ে ফার্মেসির মালিককে ভোক্তা অধিকার আইনের ২০১৯ এর ৫১ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৯০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৬৩ জন, বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, খুলনা বিভাগে ৭ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ২৩ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে গত জুলাই মাসেই ১০ হাজার জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এডিস মশাবাহিত এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ ও ৪০ জন নারী।