নব্বই দশক থেকে বার্সেলোনা নিজেদের মাঠে মাত্র দুবার লা লিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে। কিন্তু একুশ শতকে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এস্পানিওলের মাঠে তার চেয়ে বেশিবার লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে।
২০১৩ সালে এস্পানিওলের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদ ড্র করায় লিগ নিশ্চিত হয়েছিল বার্সার। ২০২৩ সালে এস্পানিওলের মাঠেই লিগ জয় নিশ্চিত হয়েছিল গাভি-পেদ্রিদের। আর এবারও এস্পানিওলকে তাদেরই মাঠে হারিয়ে নিজেদের ২৮তম লিগ শিরোপা জয় নিশ্চিত করলো হান্সি ফ্লিকের দল। সর্বোচ্চ ৩৬বার লিগ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।
বার্সেলোনার সামনে সহজ হিসাব ছিল। এস্পানিওলকে তাদের মাঠে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। আরসিডিই স্টেডিয়ামে লামিন ইয়ামাল জাদুতে বার্সা তা করতে সক্ষমও হলো। ইয়ামাল গোল করলেন, করালেন, কেড়ে নিলেন সব আলো। তার জাদুতে ভর করেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দিলো ২-০ গোলের ব্যবধানে। বার্সা হলো চ্যাম্পিয়ন!
এই জয়ে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়ালো ৮৬, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের থেকে ৭ পয়েন্ট বেশি। হাতে আছে মাত্র দুটি ম্যাচ, ফলে আর কোনোভাবেই ফ্লিকের দলকে রিয়ালের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।
এতে বার্সা কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই দারুণ সাফল্য পেলেন ফ্লিক। ক্লাবটিতে অভিষেক মৌসুমেই জিতলেন কোপা দেল রে, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। এমন সফল মৌসুমে শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগটাই অধরা রয়ে গেল এই জার্মান কোচের।
বার্সাকে অবশ্য ম্যাচে গোলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। ইয়ামাল ডান পাশ থেকে ভেতরে এসে বাম পায়ের বাঁকানো শটে গোল করেন, যা ইউরো সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করা তার গোলের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। এরপর ৯৫ মিনিটে তার পাস থেকে ফেরমিন লোপেজের গোলে নিশ্চিত হয় জয়।
শেষ দিকে এস্পানিওল ১০ জনের দলে পরিণত হয়। লিয়ান্দ্রো কাবরেরা ইয়ামালের পেটে কনুই মেরে লাল কার্ড দেখেন। এক খেলোয়াড় কম নিয়েও অবশ্য স্বাগতিকরা বার্সাকে চেপে ধরেছিল, কিন্তু এদিন ভবিতব্য লিখে রেখেছিল বার্সার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্প।
কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হ্যালিফিক্স ওয়ান্ডারার্সকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশি ফুটবলার শমিত সোমের ক্যাভালরি এফসি। গোলের দেখা না পেলেও গোল করিয়েছেন শমিত সোম।
ম্যাচের প্রথমার্ধেই পেনাল্টি থেকে ক্যাভালরিকে এগিয়ে দেন টোবিয়াস ওয়ারচেস্কি। সেই পেনাল্টি আদায় করেন আলি মুসি। এরপর ৮৩ মিনিটে স্কোরশিটে নিজের নাম লেখান মুসি। এর এক মিনিট পরেই শমিত সোমের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে হ্যালিফিক্সের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন মুসি।
গোল না পেলেও পুরো ম্যাচে ৮৯% পাস অ্যাকুরেসি ছিলো শমিতের। অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ম্যাচে ২টি বড় সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। ৫ বার বল পাঠিয়েছেন প্রতিপক্ষের ফাইনাল থার্ডে। ক্রসিংয়েও সফল ছিলেন শমিত।
এই ম্যাচে জয়ের পর ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে শমিতের দল।
শমিত সোমের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায় তবে তার মা-বাবা বাংলাদেশি। ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে ২টি ম্যাচ খেলেছেন এই মিডফিল্ডার।
সব ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে শমিত সোমের।
আগামী রোববার (১১ মে) হিমাচল প্রদেশের ধরমশালায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল। তবে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় ম্যাচের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।
ওই ম্যাচটির স্থান পরিবর্তিত হয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাত রাজ্যের আহমেদাবাদে স্থানান্তরিত হয়েছে। ভারতের গুজরাত ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অনিল প্যাটেল জানিয়েছেন, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও পাঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচটির স্থান বদল করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাতের প্রেক্ষিতে ভারতের ২০টিরও বেশি বিমানবন্দর আগামী ১০ মে পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ধরমশালার বিমানবন্দরও।
তবে ধরমশালা স্টেডিয়ামে বুধবারের নির্ধারিত ম্যাচটি খেলা হবে। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস্- এর মধ্যে এই ম্যাচটির যে স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে না, তা কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন। দুই দলই প্র্যাকটিসের জন্য কয়েকদিন আগেই ধরমশালায় পৌঁছিয়ে গেছে।
তিন মাস পূর্বে ৩৬ নারী ফুটবলারের সঙ্গে ছয় মাসের চুক্তি করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু তখন চুক্তিবদ্ধ হননি জাতীয় দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বিদ্রোহ করা কেউই। অবশেষে চুক্তিতে ফিরলেন সাবিনা-সানজিদারা। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ‘বিদ্রোহী’ ১৮ ফুটবলারকে ৬ মাসের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় এনেছে বাফুফে।
আজ সোমবার (৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ। ফলে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ৫৪ জন।
চুক্তি স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ৮ ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের অধীনে চলমান ক্যাম্পে আছেন। তারা হলেন– শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, নিলুফা ইয়াসমিন, স্বর্ণা রানী, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার।
বাকি ১০ জন ভুটানের লিগে খেলতে যাওয়ায় দেশে নেই। তারা হলেন– মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, রুপনা চাকমা, সানজিদা আক্তার, সাবিনা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা।