জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির রায় ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের চারপাশ কড়া নিরাপত্তায় মোড়ানো হয়েছে। গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে পুলিশ র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবন অভিমুখী সড়কে যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। 

তবে রাজধানীতে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা গেছে। সড়কে রয়েছে যানবাহনের ভিড়, চলছে গণপরিবহন ও মেট্রোরেল। পুলিশ বলছে, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘রাজসাক্ষী' হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের এই দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে, গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগগুলো হলো— গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ। এই পাঁচ অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি।

বিএনপি কোন রায় প্রত্যাশা করে না, রায় দেয়া বা না দেয়া আদালতের বিষয়। তবে অপরাধী যেই হোক না কেন, তার অপরাধের ন্যায় বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা যে সকল অপরাধ করেছে, তা বর্ণনা করার মতো নয়। দেশের জনগণ ন্যায়বিচার চায়। আজকের রায় নিশ্চয়ই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিময় বাংলাদেশ চায়, যেখানে সব মতের মানুষ নির্ভয়ে তাদের মতামত দেবে। যারা অপরাধ করেছে, তাদের দায়িত্বের আওতায় আনা এবং শাস্তি নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। দেশের প্রতিটি নাগরিক আশা করছেন যে, আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। জনগণ ন্যায্য বিচার প্রত্যাশা করছে, যা আদালতের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২০ নভেম্বর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেককাটা থেকে শুরু করে কোন ধরনের অনুষ্ঠান না করার নির্দেশ বিএনপির। কেউ আয়োজনের চিন্তা করলে সেই অর্থ দান করার আহ্বান জানান দলটির এই সিনিয়র নেতা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির মামলার রায় পড়া শুরু শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায় সরাসরি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ট্রাইব্যুনালের ফেসবুক পেজ থেকে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায় পড়া শুরু করেছেন। 

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘রাজসাক্ষী' হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার রায়ের এই দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে, গত ১ জুন শেখ হাসিনাসহ এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগগুলো হলো— গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ। এই পাঁচ অভিযোগে তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এ মামলার একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারকে জিম্মি করে কেউ দাবি আদায় করতে চাইলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের বাইরে প্রধান উপদেষ্টা কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার দায়দায়িত্ব বিএনপি নেবে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জঁ-মার্ক সেরে-শারল। সেই বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, কাউকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের অধিকার কোনো দলের নেই। যারা জিম্মি করার পথে যাবে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। মানুষ তাদের কাছে সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, বিচারের সাথে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। যারা নির্বাচন বাঁধাগ্রস্ত করতে চায় তারা গণতন্ত্রের শত্রু। সারাবিশ্বের মতো ফ্রান্সও ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন দেখতে চায়। সব দেশই নির্বাচিত সরকারের সাথে কাজ করতে উন্মুখ।

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল মামলার রায়ের দিন ঠিক করবেন। শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। 

এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর মামলার বিচারকাজ শেষে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের তারিখ জানানোর জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। 

সেদিন ট্রাইব্যুনাল জানায়, রায়ের এই তারিখ হবে অল্প সময়ের মধ্যে। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক এবং চৌধুরী মামুন কারাগারে রয়েছেন। 

অপরদিকে, শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট সেনাসদরে চিঠি পাঠানোর পর সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

আজ দুপুরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করবে। 

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং গণভোট ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াতসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। 

একদিকে জামায়াতসহ আটটি রাজনৈতিক দল পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন ও জুলাই সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বিষয়ক অবস্থান নিয়ে সরব বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা ঘিরেও বেড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এমন প্রেক্ষাপটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী জেনি চ্যাপম্যান। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকায় অবতরণ করেন তিনি। তার এই সফরের মূল লক্ষ্য যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা। 

সফরকালে ব্রিটিশ মন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আলোচনায় থাকবে অভিবাসন, মানবিক সহায়তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুই দেশের যৌথ অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলো।

সেইসাথে, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুদের সমর্থনে কক্সবাজারে যুক্তরাজ্য-সমর্থিত বিভিন্ন কর্মসূচিও পরিদর্শন করবেন তিনি। 

অপরদিকে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী। কক্সবাজার সফরের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সহযোগিতার ওপর একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে তার। 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নিবন্ধিত ৬ দলের সাথে বৈঠকের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক দলের সাথে ইসির প্রথম দিনের সংলাপ শুরু হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বসবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)।

কয়েক ধাপে হওয়া এ সংলাপে পরবর্তীতে অংশ নেবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ইসির নিবন্ধিত অন্য দলগুলো। দলীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় সংলাপে আমন্ত্রণ পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ।

ইসির বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৫৩টি। স্থগিত রয়েছে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন। বাতিল রয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখা থেকে দিনব্যাপী এই সংলাপে অংশ নিতে দলগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়।

বিএনপির ওপর অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যাদের সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা নেই তারাও সিদ্ধান্ত দেওয়ার চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। 

আমীর খসরু বলেন, জুলাই সনদ সই করে তারা ভিন্ন কথা বলতে চায়। গণতন্ত্রে তাদের বিশ্বাস রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ঐক্যমতের বাইরে গিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবেন না।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ক্ষমতায় গেলে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াবে বিএনপি। প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সুযোগ পেলেই বাংলাদেশের ওপর দোষ চাপায় ভারত। দিল্লিতে বোমা হামলার বিষয়ে বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অমূলক। এটা কেউ বিশ্বাস করবে না।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, চীন থেকে অস্ত্র কেনা বিষয়ে আমরা কারও দিকে ঝুঁকিনি। আমরা ব্যালেন্সড রিলেশনশিপ মেনে চলি। সবাই সঙ্গেই ভারসাম্যপূর্ণ বজায় রাখছে বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার মামলায় রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের বিষয়ে যে কেউই জাতিসংঘে আপিল করতে পারে। এ নিয়ে জাতিসংঘ কিছু বললে ঢাকা পদক্ষেপ নেবে। 

প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লিতে লাল কেল্লার সামনে গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম এই হামলার সাথে বাংলাদেশকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।

ভারতে বসে আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি দেয়া পাগলের প্রলাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ছাত্রদল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রের পুনর্বাসন চায় না। দলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্র রক্ষার জন্য কোনো কাজ করেনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গণভোটের মধ্য দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন হয়ে যাবে না। তবে মানুষের চাওয়া রক্ষায় এতে সায় দিয়েছে বিএনপি। এ সময় রাজনৈতিক দলের নেতাদের ঘি দিয়ে তৈলাক্ত বক্তব্য সমীচীন নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর জাহাজ 'পিএনএস সাইফ'। শনিবার (৮ নভেম্বর) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছালে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডারের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার জাহাজের কর্মকর্তা ও নাবিকদের স্বাগত জানান।

এ সময় নৌবাহিনীর সুসজ্জিত বাদকদল ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী ব্যান্ড পরিবেশন করে। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রতিনিধিসহ নৌবাহিনীর স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বানৌজা স্বাধীনতা তাদের অভ্যর্থনা জানায়।

বাংলাদেশে অবস্থানকালে জাহাজটির অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তাসহ একটি প্রতিনিধিদল কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চল, কামান্ডার বিএন ফ্লিট, এরিয়া সুপারিনটেনডেন্ট ডকইয়ার্ডের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলে অবস্থানকালীন জাহাজের অফিসার, নাবিক ও প্রশিক্ষণার্থীগণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান, নৌবাহিনী জাহাজ ও ঘাঁটি পরিদর্শন করবেন। এছাড়াও,  বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকগণও পাকিস্তানের জাহাজটি পরিদর্শন করবেন। 

পাকিস্তান নৌবাহিনী জাহাজের বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দপূর্ণ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা সফর শেষে জাহাজটি আগামী বুধবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।