Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

Aliquam dui nulla, fermentum sit amet ante et, tempor facilisis metus. Aenean aliquam ultricies tellus at elementum. Morbi quis cursus tortor, id vulputate felis.

দীর্ঘ চার বছর পর ফের ভারত সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফরের উপলক্ষ হলো ২৩তম ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্মেলন। এ কারণে বর্ণিল সাজে সেজেছে দেশটি। রাজধানী দিল্লির পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ থেকে ওড়িশা কিংবা পাঞ্জাব, সবখানেই যেন রঙ ও শিল্পের ছোঁয়া লেগেছে। বিশেষ করে আরতি, হাতে আঁকা ছবি ও বালুর শিল্প বেশ উল্লেখযোগ্য। এসব আয়োজন জানান দিচ্ছে 'ভারতের বন্ধু' আসছেন দেশটিতে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) পুতিনকে স্বাগত জানাতে বারাণসীতে আয়োজিত হয় 'ভারত-রাশিয়া মৈত্রী পদযাত্রা'। এটি সুভাষ ভবন থেকে শুরু হয়ে মুন্সি প্রেমচাঁদ স্মৃতি গেটে এসে শেষ হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীদের হাতে মোদি ও পুতিনের পোস্টার দেখা যায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতির বার্তাও শোনা যায় পদযাত্রায়।

পুতিনের ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজন করা হয় 'আরতি'র।

পাঞ্জাবের অমৃতসরে দেশটির স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী জগজোত সিং অ্যাক্রিলিক রঙ ব্যবহার করে পুতিনের একটি দৃষ্টিনন্দন প্রতিকৃতি এঁকেছেন। পাশাপাশি, ওড়িশার পুরিতে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত বালু শিল্পী মানস কুমার সাহু পুতিনের ভারত সফর উপলক্ষে একটি বালির অ্যানিমেশন চিত্র তৈরি করেছেন।

বালির অ্যানিমেশন চিত্রে পুতিনের মুখাবয়ব।

পুতিনের এই সফরের মূল এজেন্ডাগুলির মধ্যে রয়েছে— প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি, জ্বালানি সম্পর্ক এবং তেল বাণিজ্যের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব।

এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার পুতিনের জন্য একটি ব্যক্তিগত নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। পরদিন একটি মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের সম্মাননায়।

বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরকে স্বাগত জানাতে হায়দ্রাবাদ হাউসের বাইরে লাগানো একটি হোর্ডিংয়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন লোকজন। (এএনআই ছবি) (সাথিয়া)
হায়দ্রাবাদ হাউসের বাইরে লাগানো একটি হোর্ডিংয়ে মোদি-পুতিনের ছবি।

 

সফরে রাজঘাট স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আয়োজনে একটি ভোজসভায় যোগ দেয়ার কথাও রয়েছে পুতিনের।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের ওপর বিশ্বব্যাপী মনোযোগ এবং ভারতের সংলাপ ও কূটনীতির আহ্বানের মধ্যে উভয় পক্ষ বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং শ্রম চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন যে রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের দুই শহর—পোকরোভস্ক ও ভোভচানস্ক দখল করেছে। গত রোববার (৩০ নভেম্বর) একটি সামরিক কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করে দুটি শহর দখলের খবর শোনেন। তবে, পুতিনের এমন দাবি   উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দাবির উদ্দেশ্য আসন্ন বৈঠকে চাপ সৃষ্টি করা। তবে ইউক্রেনের ৭ম র‍্যাপিড রেসপন্স কোরসের এয়ার অ্যাসল্ট ফোর্সেস সোমবার (১ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, পোকরোভস্কে রাশিয়ার অগ্রগতি 'থামিয়ে দেয়া হয়েছে'। পোকরোভস্ক ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা কেন্দ্র, যা দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়ার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। 

তবে, শহরটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও শহরের কিছু অংশ ধরে রেখেছে বলে জানায় ইউক্রেনের ৭ম র‍্যাপিড রেসপন্স কোরসের এয়ার অ্যাসল্ট ফোর্সেস।

এদিকে, ভোভচানস্কের অবস্থাও একই ধরনের। শহরের দক্ষিণ অংশে ইউক্রেনীয় সেনারা অবস্থান ধরে রেখেছেন। শহরটি 'পূর্ণভাবে দখল করা হয়নি বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় যৌথ বাহিনীর প্রধান কমিউনিকেশন কর্মকর্তা ভিক্টর ট্রেগুবভ জানান। তবে শহরটির বেশিরভাগ অংশই বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার (৩০ নভেম্বর) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোকরোভস্কে রুশ পতাকা উত্তোলনের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। 

পেরুর আমাজন অঞ্চলে ভূমিধসের কারণে নৌকাডুবিতে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৩ জন। এছাড়াও আহত হয়েছে ২০জন। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সোমবার (৩০ নভেম্বর) জানান, দুই জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযানে সাহায্যের জন্য পুলিশ এবং নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এ তথ্য জানায়। 

নৌকাডুবিতে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৮ জন। দেশটির সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাজধানী থেকে প্রায় ৪১৫ কিমি উত্তরপুর্বে ইপারিয়ার বন্দর একালায় এ দুর্ঘটনা হয়। 

নদীর তীরবর্তী শহরে যাওয়ার পথে ভূমিধসে ধাক্কা লাগে নৌযান দুটিতে। এ সময় পুরোপুরি ডুবে যায় একটা নৌকা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয় অন্যটি। নদীর তীরবর্তী আদিবাসী সম্প্রদায় দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। 

নৌবাহিনী ক্যাপ্টেন জনাথন নোভোয়া এএফপি নিউজ এজেন্সিকে জানান, নদীতে উদ্ধার কাজ চলছে। তবে, নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা কঠিন। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে মোট ৩৩টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। 

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া তথ্যে বলা হয়, বেলগোরোদ অঞ্চলে ১৩টি, ভোরোনেজে ১০টি, লিপেত্সকে ৪টি, ব্রিয়ান্সকে ১টি এবং কৃষ্ণসাগরের আকাশে ৫টি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক এই হামলার আগে, ইউক্রেনের আঘাতে দখলকৃত জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলে জানান মস্কো–নিযুক্ত কর্মকর্তা ইয়েভগেনি বালিৎসকি।

 এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করতে চুক্তি সম্পন্ন করার বিষয়ে ইচ্ছুক রাশিয়া। সেজন্যই মস্কোতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য বিশেষ দূতকে পাঠাচ্ছেন ট্রাম্প।

নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় ওঠার সময় প্রাণ হারিয়েছেন দুই পর্বতারোহী। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করেছে বিবিসি। 

আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) মাউন্ট কুক পর্বত থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। নিহতদের একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। 

বিবিসি জানায়, চারজনের একটি দল ৩,৭২৪ মিটার উঁচু চূড়াটিতে আরোহণের চেষ্টা করছিলেন। 

এর আগে, গত সোমবার যাত্রা করেছিল গাইডসহ চারজনের একটি দল। হঠাৎ তুষার ধসে পাহাড় থেকে ছিটকে পড়ে তারা। হেলিকপ্টার নিয়ে রাতভর অভিযান চালায় উদ্ধারকারী দল। ভোরে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুইজনকে। পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয় বাকি দুইজনের মরদেহ। 

উল্লেখ্য, দক্ষিণ আল্পসের ওপরে অবস্থিত আওরাকি মাউন্ট কুকের শীর্ষে পর্বতারোহণ অনেকক্ষেত্রে অভিজ্ঞ পর্বতারোহীদের জন্যও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণ হল- পর্বতশৃঙ্গটির বড় বড় ফাটল এবং অপ্রত্যাশিত বৈরী আবহাওয়া। এর আগেও ঝুঁকিপূর্ণ পর্বতশৃঙ্গটি আরোহনে গিয়ে প্রায়ই তুষারধসের মুখোমুখি হন অভিযাত্রীরা।

ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে টানা কয়েক দিনের তুমুল বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত আরও ১২ জন। খবর, দ্য গার্ডিয়ানের।

রোববার (২৩ নভেম্বর) দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।

মূলত গত অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই এই অঞ্চলে অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে একাধিকবার আঘাত হেনেছে বন্যা। গত সপ্তাহ থেকে ছয়টি প্রদেশে মোট ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য দাক লাক প্রদেশে। সেখানে এ পর্যন্ত ৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এই প্রদেশে হাজার হাজার ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।

এ বন্যায় দেশটির দাক লাকসহ পাঁচটি প্রদেশে ৮০ হাজার হেক্টরেরও বেশি ধান ও অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ৩২ লক্ষাধিক গবাদি পশু বা হাঁস-মুরগি মারা গেছে অথবা ভেসে গেছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই বন্যায় পাঁচটি প্রদেশে আনুমানিক ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ভিয়েতনামে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২৭৯ জন নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। এতে দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটিতে জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা থাকে। তবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বন্যার সময় কিঞ্চিত পরিবর্তন ও মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবেশে প্রতিকূল পরিস্থিতিও দৃশ্যমান হচ্ছে ইদানীং।