Business News and Financial News - CNNMoney
Nunc ante nisi, varius ut turpis viverra, eleifend ultrices nulla. Vestibulum at ex ac metus dictum posuere. Donec neque arcu, finibus sed lacus vel, Maecenas imperdiet metus ante.
Nunc ante nisi, varius ut turpis viverra, eleifend ultrices nulla. Vestibulum at ex ac metus dictum posuere. Donec neque arcu, finibus sed lacus vel, Maecenas imperdiet metus ante.
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের উত্তরাঞ্চলে ৫.১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইরানের সেমনান শহরের প্রায় ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) দক্ষিণ-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল) গভীরতায় এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
একদিকে ভূমিকম্প, অন্যদিকে একই সময়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় দেশটির বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা ইরানিদের জন্য একযোগে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ ডেকে এনেছে।
এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু ভবন হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (রেড ক্রিসেন্ট) এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।
ইরানের বেশ কিছু শহরে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় ভূমিকম্প পরিস্থিতি মোকাবিলায় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা।
সূত্র: তাসনিম নিউজ এজেন্সি, ব্যারন্স, গালফ নিউজ, আল-আরাবিয়া নিউজ
ইউক্রেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ওলেহ ইভাশচেঙ্কো বলেছেন, চীন রাশিয়ার সামরিক কারখানাগুলোতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পণ্য সরবরাহ করছে। তবে বেইজিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন। মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
ওলেহ ইভাশচেঙ্কো বলেন, ‘প্রমাণিত তথ্য রয়েছে যে চীন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য বিশেষভাবে যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, বারুদ ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে। আমরা ২০টি রাশিয়ান কারখানার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পেয়েছি।’
তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ সালে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে এভিয়েশন খাতে পাঁচটি যৌথ প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম ও কারিগরি তথ্যের আদান-প্রদান হয়েছে। এছাড়া ছয়বার রাশিয়ায় বড় পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি, যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন রাশিয়ার সাথে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। যদিও চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘রাশিয়া-ইউক্রেন’ যুদ্ধে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি করছে, তবে ইউক্রেনের গোয়েন্দা রিপোর্টে চীনের সরবরাহকৃত সামরিক-সহায়ক পণ্যের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠককে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অপ্রত্যাশিত মানসিক যুদ্ধে পরিণত করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকেও এই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। একসময় ওভাল অফিসে আমন্ত্রণ পাওয়াকে গৌরবের বিষয় মনে করা হতো, কিন্তু ট্রাম্পের আমলে তা এখন এক ধরনের ‘রাজনৈতিক অ্যামবুশ’-এ পরিণত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম ‘ফ্রান্স-২৪’ এ তথ্য জানায়।
স্থানীয় সময় বুধবার (২১ মে) ওভাল অফিসে আয়োজিত বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথি রামাফোসার সরকারের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা ও ভূমি দখলের অভিযোগ আনেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ, অনেক মানুষ (দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ সম্প্রদায়) মনে করছেন, তারা নিপীড়নের শিকার। তারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাচ্ছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে তারা হত্যার শিকার হচ্ছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে জেলেনস্কির সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর ট্রাম্প এবার রামাফোসাকে লক্ষ্য করেছেন। সাধারণত রাষ্ট্রীয় সফরে ওভাল অফিসে সংক্ষিপ্ত আলাপ ও ছবি তোলার রেওয়াজ থাকলেও ট্রাম্প সেগুলোকে প্রায় একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এমন উত্তপ্ত আলোচনায় পরিণত করেন।
বৈঠকের শুরুতেই রামাফোসা বলে দিয়েছিলেন, তিনি মূলত বাণিজ্য নিয়ে আলাপ করতে চান। তবে খুবই দক্ষতার সঙ্গে আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে রামাফোসাকে একগাদা অভিযোগে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ নিয়ে তিনি চিন্তিত। কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন এবং একটি ভিডিওকে নিজের দাবির সপক্ষে প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন তিনি।
তবে জেলেনস্কির মতো ট্রাম্পের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে জড়াতে চাননি রামাফোসা। তিনি বরং শান্তভাবে সব অভিযোগ শুনে ধীর গলায় বলেছেন, শ্বেতাঙ্গ কৃষক গণহত্যার অভিযোগ যদি সত্য হতো, তবে এই তিন ভদ্রলোক (আমন্ত্রিত গলফ খেলোয়াড়) আমার সঙ্গে থাকতেন না।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই বৈঠককে ‘উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু ফলপ্রসূ’ বলে বর্ণনা করেছে। তবে কূটনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আচরণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা তৈরি করে।
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবর আল-জাজিরা।
টানা দুই ঘণ্টা ধরে হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিনের মধ্যে চলে এই আলোচনা। উভয় দেশ এই আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ হিসেবে উল্লেখ করলেও, যুদ্ধ বন্ধে এখনও কোনো চূড়ান্ত সমাধান আসেনি।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শিগগিরই মস্কো ও কিয়েভ আলোচনায় বসবে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও দিয়েছেন ইতিবাচক ইঙ্গিত। ট্রাম্পের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার পর পুতিন জানান, কিয়েভের সঙ্গে সমঝোতায় রাশিয়ার কোনো আপত্তি নেই।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আমরা আগ্রহী। এখন সবচেয়ে কার্যকর উপায়টি নির্ধারণ করাই মূল বিষয়। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা একমত হয়েছি। রাশিয়া একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে ইউক্রেনকে একটি সমঝোতা স্মারক দেওয়ার প্রস্তাব দিতে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত।
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলাকে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
বুধবার (১৪ মে) ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন বুনইয়ান-উন-মারসুসে অংশ নেওয়া সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে শিয়ালকোটের পাসরুর সেনানিবাসে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে জিও টিভি।
ভারতের বিরুদ্ধে এই অপারেশন পাকিস্তানের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে মন্তব্য করে শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনারা ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও দ্রুত জবাব দিয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাদের উদ্দেশ্যে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে চিরন্তনভাবে থাকবে, কীভাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে, পাকিস্তানের রক্ষীরা ভারতের অপ্ররোচিত আগ্রাসন নিবারণ করে দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে শেহবাজ শরিফ বলেন, বিশ্ব জানে ১৯৭১ সালে কারা মুক্তিবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখন তারাই বালুচ লিবারেশন আর্মি (বেলুচিস্তান স্বাধীনতাপন্থি গোষ্ঠী) এবং তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানকে (পাকিস্তান সরকারবিরোধী গোষ্ঠী) সমর্থন দিচ্ছে। যা মোদির কাছ থেকে আসছে।
পাকিস্তানে ভারতের পানি প্রবাহ বন্ধের হুমকির জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি ভারত পাকিস্তানে পানি বন্ধ করার চিন্তা করে। তাহলে জেনে রাখুন: পানি ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। এটি আমাদের সীমারেখা। যেটিতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
মোদিকে উদ্দেশ্য করে শেহবাজ শরিফ বলেন, মোদি, আপনি যদি আরেকবার কোনো আগ্রাসন দেখান। তাহলে আপনারা ধারণার বাইরের পরিণতি ভোগ করবেন। মোদি আপনার জ্বালাময়ী বক্তব্য আপনার কাছে রাখুন। পাকিস্তান এ অঞ্চলে শান্তি চায়। কিন্তু আমাদের শান্তি চাওয়ার বিষয়টিকে দুর্বলতা ভাববেন না।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ওই বছরের ২৬ মার্চ যুদ্ধ শুরু হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে এটির সমাপ্তি ঘটে। পাক সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। এর আগে ‘অপারেশন চেঙ্গিস খান’ নামে ভারতের আটটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। এরপর তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।