১৮ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পান নুরুল হক নুর। এখন গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে পারবেন না তিনি। তার অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হন নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর থেকেই ঢামেকের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) এবং এরপর কেবিনে ভর্তি থাকেন তিনি।
রংপুরে প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশনে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের উপস্থিতিতে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি প্রদর্শণ করার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। এ ব্যপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, এটা গ্রহনযোগ্য নয়, ফ্যাসিবাদের অনেক রকম রূপ আমরা লক্ষ করছি।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর আরডিআরএসের রোকেয়া মিলনায়তনে পশুপালন ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের বিভাগীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালার আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
কর্মশালা শুরুর পর প্রকল্পের বিভাগীয় অগ্রগতি পর্যালোচনা নিয়ে একটি ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক গোলাম রব্বানী। এতে দেখা যায় মিনিটরে স্ক্রিপ্টের ওপরে শোভা পাচ্ছে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি এবং তাদের বাণী। এনিয়ে হৈচৈ শুরু হলেও তিনি প্রেজেনটেশন চালিয়ে যান।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফরিদা বলেন, এটা আসলে অবমাননাকর। অন্তবর্তীকালীন সময়ে এতগুলো মানুষের রক্তের ওপর তাদের (শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা) ছবি কোনমতেই গ্রহনযোগ্য নয়। এরকম বহু ঘটনা ঘটছে। ফ্যাসিবাদ আমরা যেন মনে না করি যে ফ্যাসিবাদ চলে গেছে। ফ্যাসিবাদের অনেক রকম রূপ থাকে। তার কিছু কিছু হয়তো প্রতিফলন ঘটে এভাবে। তবে আমরা যখনই টের পাই, ব্যবস্থা গ্রহণ করি।
তিনি আরও জানান, আমাকে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন যে এটা ভুলক্রমে হয়ে গেছে। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আমি তার ক্ষমাটাকে সবার কাছে উপস্থাপন করলাম। ব্যাপারটা আমাকে আরও একটু ভালো করে জানতে হবে। তবে অবশ্যই এ ব্যপারে আমি ব্যবস্থা নেব।
এ সময় উপদেষ্টা ফরিদা জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হল প্রাণির সকল রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা। মানুষকে মাংস, দুধ ডিম দিতে গেলে এগুলো আমাদের নিরাপদ করেই মানুষকে দিতে হবে। প্রাণিকে রোগমুক্ত করতে হবে। সেজন্য আমরা ভ্যাকসিন উৎপাদনের টার্গেট নিয়েছি। কারণ ভ্যাকসিন আমদানি করার কারনে দাম বেড়ে যায়। প্রাইভেট সেক্টরে খামারিদের অনেক অসুবিধা হয়। সব প্রাণিকে ভাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
তিনি আরও বলেন, প্রাণি থেকে মানুষের রোগ ছড়ানো অনেক মারাত্বক। সেকারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমরা কাজ করছি। যেটাকে বলে ওয়ান হেলথ কনসেপ্ট। আমরা মানুষের স্বাস্থ্য এবং প্রাণির স্বাস্থ্য একইসাথে প্রতিরোধ করবো।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান ভুমি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব:) সুপ্রদীপ চাকমা।তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভুমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে মাস্টার প্ল্যান রয়েছে, কোথায় কি হবে সব বিষয় নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। ভুমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের দেশে তা এখনো করা সম্ভব হয়নি। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ভুমি সমস্যা যাতে সহজভাবে সমাধান করা যায় সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকার কাজ করছে।
গতকাল শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর ) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ভুমি মন্ত্রণালয়ের ভুমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় অংশীজনদের অংশগ্রহণে পার্বত্য জেলা সমূহের ভুমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব:) সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরাসহ তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসকগণ, হেডম্যান-কার্বারীগণ, সাংবাদিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব:) সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, সনাতন সম্প্রদায়ের আসন্ন দুর্গাপূজা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দান যাতে নিরাপদে ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এদুইটি অনুষ্ঠান সফল করতে যায় তিনি জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়া পার্বত্য জেলা সমুহের বর্তমান পদ্ধতিতে ভুমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। কর্মশালা শেষে তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল চীফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, হেডম্যান, কার্বারীদের নিয়ে আলাদা একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশে দীর্ঘদিন গণতন্ত্র না থাকায় অনেকের মধ্যে অসহিষ্ণুতা জন্ম নিয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রাণী প্রদর্শনীর এক আয়োজনে দেয়া বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তারেক রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পশু-পাখি সুরক্ষায় আইনের সংশোধন আনা হবে। জীব-বৈচিত্র রক্ষায় আইনের চাইতেও সব নাগরিকের সচেতনতা জরুরি। তিনি আরও বলেন, মানুষের পশুত্ব বর্জনই হোক সবার অঙ্গীকার। মানুষের অধিকার রক্ষা করতে পারলে পশু-পাখির অধিকারও রক্ষা করা সম্ভব।
চাঁদপুরে ইলিশের ভরা মৌসুমে সরবরাহ কাঙ্ক্ষিত না হলেও ঘাটে প্রতিদিন মাছ আসছে চার থেকে পাঁচ শত মণ। আর গত চার দিনে দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। এমতাবস্থায় দাম নিয়ে নাখোশ ক্রেতারা, বেশি হওয়ায় কিনতে হিমশিম খাচ্ছে তারা। তাদের দাবি, নাগালের বাইরে থাকায় মাছ ধরাছোঁয়ার বাইরে।
তবে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ অঞ্চলের ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু ওইসব মাছ আসলেই কোথায় যাচ্ছে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তারা। যদিও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ বাড়লে রফতানিতে প্রভাব পড়বে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুরের ইলিশ বাজারে ভিড় জমিয়েছেন বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আছেন স্থানীয় ক্রেতারাও। হাঁকডাকে মুখর চারপাশ।
বাজার ঘুরে জানা গেল, কয়েকদিন ধরেই ইলিশের দাম বাড়তি। আকৃতি ভেদে সব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
এক ক্রেতা বলেন, গতকালও যেটা নাগালের বাইরে ছিল, সেটা আজ হঠাৎ দাম বেড়ে গেছে। বিভিন্নজন মাছ কিনছে অথচ কোথায় যাচ্ছে জানি না। অন্য আরেকজন বলেন, বাজারে মাছ থাকলেও দাম আকাশছোঁয়া। সেজন্য চড়া দামে কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ইলিশের এখন ভরা মৌসুম। সরবরাহও বেড়েছে ঘাট থেকে হাটে। তাই রফতানির উদ্যোগও নিয়েছে সরকার। ক্রেতাদের দাবি, এই খবরে দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, রফতানি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। সেজন্য বড় মাছের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, ভরা মৌসুম হলেও মিলছে না পর্যাপ্ত মাছ। যোগান বাড়লে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল বারি জমাদার বলেন, মাছের সরবরাহ অনেক কম। এতে মাছের দামে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে সরবরাহ বাড়লে দামে প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছি।
বর্তমানে বাজারে ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ টাকা কেজিতে। এক কেজির বেশি হলেই দাম হয়ে যাচ্ছে ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকার ওপরে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এ সংলাপে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ দলগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো— অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষাসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, চূড়ান্ত জুলাই সনদে এর বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি। তাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে আজ ৩০টি রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে সংলাপে বসছে কমিশন। জুলাই সনদের মূল দাবি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আজকের আলোচনা হতে পারে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তি, জানান সংশ্লিষ্টরা।